কক্সবাজার রিপোর্ট
মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ও কক্সবাজারের চিহ্নিত রাজাকার পুত্র মকুসদ মিয়া কতৃক একই পৌরসভার কাউন্সিলার ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছালামত উল্লাহকে নেক্কারজনক ভাবে হামলা করে মারাত্বক ভাবে আহত করার ঘটনায় দেশ জুড়ে তুড়পাড় সৃস্টি হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারে ছিল এই সংবাদ টকঅফদ্য টাউন।
আহত ছালামত উল্লাহ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের সাত নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলায় হাত, পা ছাড়াও কিডনিতেও আঘাত লেগেছে।
এ ঘটানয় বুধবার রাতে আহতের স্ত্রী জোৎ¯œা আক্তার বাদী হয়ে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে মহেশখালী থানায় একটি এজহার জমা দিলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে এই মামলা থেকে পৌর মেয়রের নাম কাটাতে তদবির করছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আহত ছালামত উল্লাহ জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময থেকে আজ পর্যন্ত মকছুদ মিয়ার পরিবার ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাতো। তার তিন ভাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্ষমতার পালাবদল হলে মকছুদ মিয়া আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমান সাংসদের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। পৌরসভার একজন কাউন্সিলর ও সাংবাদিক হিসেবে আমি তার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছি।
ফলে তিনি আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিত। মঙ্গলবার রাত ৯ টার সময় আমি বাড়ি যাওয়ার পথে মকসুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক আমার গতিরোধ করে আমার উপর হামলা চালায়। তাদের হাতুড়ি ও লোহার রড়ের আঘাতে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। তাদের মারধরের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে আছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মকছুদ মিয়ার পিতা মো: হাশেম একজন চিহ্নিত তালিকাভূক্ত যুদ্ধাপরাধী। তার বড়ভাই আবু বক্কর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, ছোটভাই কায়সার মহেশখালী পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরেকভাই আতা উল্লাহ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তার পরিবার যুদ্ধাপরাধের অপরাধ আড়াল করতে রাজনৈতিক ছাত্র ছায়ায় থেকে ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করেন বলে দাবি তাদের। এদিকে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র দে বলেন, পৌর কাউন্সিলার ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছালামত উল্লাহ আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে তবে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। অন্যদিকে ঘটনা বিষয়ে এখনো কোন মিডিয়ার সাথে কথা বলছে না অভিযুক্ত পৌর মেয়র। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ আছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার ফারুক বলেছেন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ছালামত উল্লাহর উপর হামলাকারীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে পৌর মেয়রকেও ছাড় দেয়া হবে না।
মন্তব্য করুন