নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমিদস্যুর মন রক্ষায় কোন মামলার ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়াই মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তারা কক্সবাজার মডেল থানা হেফাজতে রয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া মাস্টারপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে খরুলিয়া মাস্টারপাড়া এলাকায় বেশকিছু জমি কিনে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পাশর্^বর্তী আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে এক ব্যক্তির বসতভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভূমিদস্যু শফিকের। আবু বক্কর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। একারণে তার স্ত্রী সাজেদা খানম সন্তানদের নিয়ে কোন রকম খেয়ে-পরে জীবন যাপন করছেন। নামমাত্র মূল্যে তার ভিটাটি বিক্রি করার জন্য সাজেদা খানমের উপর নানাভাবে হয়রানি শুরু করে ভূমিদস্যু শফিক। কিন্তু একের পর এক প্রস্তাবেও সাজেদা তার বসতভিটা বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করায় পুলিশকে ব্যবহার করে হয়রানি শুরু করে চিহ্নিত ভূমিদস্যু শফিক।
এরই অংশ হিসেবে গত ৪ এপ্রিল সাজেদার বাড়িতে হামলা চালায় ভূমিদস্যুরা। এতে সাজেদার মেয়ে সাবেকুন্নাহারকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে ভূমিদস্যুর পক্ষে পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উল্টো ভুক্তভোগি সাজেদার পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলে যায় পুলিশ।
এরপর ১৬ এপ্রিল রাতে ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার সহযোগী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে আবারও সাজেদার বসতভিটায় হামলা চালায় ভূমিদস্যুরা। এসময় ভাংচুর চালিয়ে গাছপালা কেটে নিয়ে যায় তারা। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এঘটনায় পুলিশ অসহায় ভুক্তভোগিদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো ভূমিদস্যুর পক্ষ নেন। ভূমিদস্যুর পক্ষে গিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল তিনটার দিকে সাজেদা খানম (৬০) ও তার মেয়ে সাজিয়া আফরিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সদর মডেল থানা পুলিশ। তাদেরকে আটকে নেতৃত্ব দেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ উল্লাহ।
অভিযোগ উঠেছে, কোন মামলা বা বিনা ওয়ারেন্টে সাজেদা খানম ও তার মেয়ে সাজিয়া আফরিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এখন ভূমিদস্যুর সাথে আপোষে না আসলে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের হুমকি দিচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে বুধবার রাতে কক্সবাজার সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগি সাজেদা খানমের মেয়ে সাবেকুন্নাহার। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ভাই আসহাব উদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেকুন্নাহার।
সাবেকুন্নাহার বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা ভাই-বোন চাকরি করে কোন রকম সংসার চালায়। বসতভিটাটি আমার মা সাজেদা খানমের নামে। বসতভিটা হিসেবে ভোগ-দখলক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখন ভূমিদস্যু শফিক আমাদের বসতভিটাটি অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা শুরু করেছে। আমাদেরকে বসতভিটা থেকে উৎখাত করার জন্য শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ব্যবহা করা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল রাতে আমাদের বসতভিটায় হামলায় হয়েছে। উল্টো পুলিশ কোন মামলার ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়াই আমার মা এবং বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। এখন ভূমিদস্যুর সাথে আপোষে না আসলে প্রাণনাশ এবং মা ও বোনকে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘সাজেদা খানম ও তার ছেলে-মেয়েরা শফিকের জমিতে ভাংচুর করেছে। একারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’
তাদের আটক করার জন্য কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। উপরের নির্দেশে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
কোন স্থানে ভাংচুরের সাথে সাজেদা এবং তার মেয়ে জড়িত রয়েছে এমন প্রশ্নে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বিস্তারিত জানি না। মৌখিকভাবে নাকি ওসি (তদন্ত) স্যারকে জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা। এটা নিয়ে স্যার মাথা ঘামাচ্ছে’।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ওসি খায়রুজ্জামান বলেন, ‘কাউকে আটক করার জন্য অভিযোগ বা মামলা থাকার প্রয়োজন পড়ে না। কোন ঘটনা না ঘটলে শুধু শুধু কেন নিয়ে আসবো’।
সাজেদা ও তার মেয়েকে শফিকের পক্ষ নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কারও পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে তারা (সাজেদা ও তার পরিবার) শফিকের জমিতে ভাংচুর করেছে।
পুলিশের বক্তব্য আর বাস্তবতার মধ্যে কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ১৬ এপ্রিল রাতে হামলা চালানো হয়েছে সাজেদার বসতভিটায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গাছও কাটা হয়েছে। সীমানার বাঁশের বেড়াও ভাংচুর করা হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, যেকোন ছোট অপরাধ বড় অপরাধের জন্ম দেয়। প্রত্যেকটা মানুষের আইনের সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাদেরকে (সাজেদা ও তার মেয়ে) মামলার বিনা ওয়ারেন্টে বা কোন অভিযোগ ছাড়াই যে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে এটা কোনভাবে আইন সম্মত নয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক। সরকার যেখানে আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেখানে পুলিশের কাছ থেকে এধরণের ঘটনা কোনভাবে কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনীতে যে নুসরাত হত্যাকান্ড ঘটেছে সেখানে প্রথমে আইনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে সহযোগিতা করেনি। এক্ষেত্রেও পুলিশের এমন ভূমিকা হলে আরেকটি ঘটনার পুণরাবৃত্তি হচ্ছে কিনা এখন চিন্তার বিষয়। কিন্তু এটা কোনভাবে কাম্য নয়।
এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, বিষয়ভূমিদস্যুর মন রক্ষায় মামলা ছাড়া-ই মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে আসলো পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমিদস্যুর মন রক্ষায় কোন মামলার ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়াই মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তারা কক্সবাজার মডেল থানা হেফাজতে রয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া মাস্টারপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে খরুলিয়া মাস্টারপাড়া এলাকায় বেশকিছু জমি কিনে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পাশর্^বর্তী আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে এক ব্যক্তির বসতভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভূমিদস্যু শফিকের। আবু বক্কর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। একারণে তার স্ত্রী সাজেদা খানম সন্তানদের নিয়ে কোন রকম খেয়ে-পরে জীবন যাপন করছেন। নামমাত্র মূল্যে তার ভিটাটি বিক্রি করার জন্য সাজেদা খানমের উপর নানাভাবে হয়রানি শুরু করে ভূমিদস্যু শফিক। কিন্তু একের পর এক প্রস্তাবেও সাজেদা তার বসতভিটা বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করায় পুলিশকে ব্যবহার করে হয়রানি শুরু করে চিহ্নিত ভূমিদস্যু শফিক।
এরই অংশ হিসেবে গত ৪ এপ্রিল সাজেদার বাড়িতে হামলা চালায় ভূমিদস্যুরা। এতে সাজেদার মেয়ে সাবেকুন্নাহারকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে ভূমিদস্যুর পক্ষে পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উল্টো ভুক্তভোগি সাজেদার পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলে যায় পুলিশ।
এরপর ১৬ এপ্রিল রাতে ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার সহযোগী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে আবারও সাজেদার বসতভিটায় হামলা চালায় ভূমিদস্যুরা। এসময় ভাংচুর চালিয়ে গাছপালা কেটে নিয়ে যায় তারা। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এঘটনায় পুলিশ অসহায় ভুক্তভোগিদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো ভূমিদস্যুর পক্ষ নেন। ভূমিদস্যুর পক্ষে গিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল তিনটার দিকে সাজেদা খানম (৬০) ও তার মেয়ে সাজিয়া আফরিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সদর মডেল থানা পুলিশ। তাদেরকে আটকে নেতৃত্ব দেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ উল্লাহ।
অভিযোগ উঠেছে, কোন মামলা বা বিনা ওয়ারেন্টে সাজেদা খানম ও তার মেয়ে সাজিয়া আফরিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এখন ভূমিদস্যুর সাথে আপোষে না আসলে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের হুমকি দিচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে বুধবার রাতে কক্সবাজার সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগি সাজেদা খানমের মেয়ে সাবেকুন্নাহার। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ভাই আসহাব উদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেকুন্নাহার।
সাবেকুন্নাহার বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা ভাই-বোন চাকরি করে কোন রকম সংসার চালায়। বসতভিটাটি আমার মা সাজেদা খানমের নামে। বসতভিটা হিসেবে ভোগ-দখলক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখন ভূমিদস্যু শফিক আমাদের বসতভিটাটি অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা শুরু করেছে। আমাদেরকে বসতভিটা থেকে উৎখাত করার জন্য শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ব্যবহা করা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল রাতে আমাদের বসতভিটায় হামলায় হয়েছে। উল্টো পুলিশ কোন মামলার ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়াই আমার মা এবং বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। এখন ভূমিদস্যুর সাথে আপোষে না আসলে প্রাণনাশ এবং মা ও বোনকে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘সাজেদা খানম ও তার ছেলে-মেয়েরা শফিকের জমিতে ভাংচুর করেছে। একারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’
তাদের আটক করার জন্য কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। উপরের নির্দেশে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
কোন স্থানে ভাংচুরের সাথে সাজেদা এবং তার মেয়ে জড়িত রয়েছে এমন প্রশ্নে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বিস্তারিত জানি না। মৌখিকভাবে নাকি ওসি (তদন্ত) স্যারকে জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা। এটা নিয়ে স্যার মাথা ঘামাচ্ছে’।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ওসি খায়রুজ্জামান বলেন, ‘কাউকে আটক করার জন্য অভিযোগ বা মামলা থাকার প্রয়োজন পড়ে না। কোন ঘটনা না ঘটলে শুধু শুধু কেন নিয়ে আসবো’।
সাজেদা ও তার মেয়েকে শফিকের পক্ষ নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কারও পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে তারা (সাজেদা ও তার পরিবার) শফিকের জমিতে ভাংচুর করেছে।
পুলিশের বক্তব্য আর বাস্তবতার মধ্যে কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ১৬ এপ্রিল রাতে হামলা চালানো হয়েছে সাজেদার বসতভিটায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গাছও কাটা হয়েছে। সীমানার বাঁশের বেড়াও ভাংচুর করা হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, যেকোন ছোট অপরাধ বড় অপরাধের জন্ম দেয়। প্রত্যেকটা মানুষের আইনের সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাদেরকে (সাজেদা ও তার মেয়ে) মামলার বিনা ওয়ারেন্টে বা কোন অভিযোগ ছাড়াই যে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে এটা কোনভাবে আইন সম্মত নয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক। সরকার যেখানে আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেখানে পুলিশের কাছ থেকে এধরণের ঘটনা কোনভাবে কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনীতে যে নুসরাত হত্যাকান্ড ঘটেছে সেখানে প্রথমে আইনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে সহযোগিতা করেনি। এক্ষেত্রেও পুলিশের এমন ভূমিকা হলে আরেকটি ঘটনার পুণরাবৃত্তি হচ্ছে কিনা এখন চিন্তার বিষয়। কিন্তু এটা কোনভাবে কাম্য নয়।
এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি ঘটনা সম্পর্কে খবর নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। কয়েক মাস আগে রামুর ইউনুচ রানা চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির জমিও অবৈধভবে দখল করে সে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষের জমি দখল করেছে সে। এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার শফিক বর্তমানে জামায়াতের কর্মকান্ডের অন্যতম অর্থ যোগানদাতা। কিন্তু তাকে জমি দখলে সরাসরি সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি ঘটনা সম্পর্কে খবর নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। কয়েক মাস আগে রামুর ইউনুচ রানা চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির জমিও অবৈধভবে দখল করে সে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষের জমি দখল করেছে সে। এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার শফিক বর্তমানে জামায়াতের কর্মকান্ডের অন্যতম অর্থ যোগানদাতা। কিন্তু তাকে জমি দখলে সরাসরি সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন