একরামুল হাসান ইয়াছিন, রামু
ঈদগাঁহতে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহদাত বার্ষিকীতে আলোচনা সভা আয়োজন করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-৩ (সদর- রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবু তালেবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদুর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বলেন- মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানের বেনজির ভূট্টুকে হত্যা করতে দেখেছি, তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অক্ষত অবস্থায় ছিল। কিন্তু ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার পরিবারকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের হাত থেকে সেইদিন দশ বছরের শিশু রাসেল কখনো বাবার পরিচয় দিবেন না বলেও প্রাণ ভিক্ষা পায়নি। খাটের নিচ থেকে টেনে এনে তাকে হত্যা করেছিল।জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কুমিল্লার বাল্ব নামক স্থানে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্যে মিটিং বসেছিল হত্যাকারীরা। এপ্রিল মাসে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে এই হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে মিটিংএ বসলে কর্ণেল ফারুখ, মেজর ডালিম, খোন্দকার মোস্তাক, রশিদ আলাপকালের এক পর্যায়ে মেজর জিয়ার সম্মতির কথা প্রকাশ পায়। সেই সময়ের গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ারম্যান আমার আপন মামা কর্ণেল সালাউদ্দীন ১৫ আগস্ট ভোর পৌনে ৬ টায় লুঙ্গি পড়া অবস্থায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকান্ডের কথা জেনে মেজর জিয়ার কাছে ছোটে গেলে, মেজর জিয়াকে ক্লিন সেভ এবং ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায় দেখতে পায়। কর্ণেল সালাউদ্দীন তার কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কথা জানতে চায়লে জিয়া তাকে বলেন, ” তাতে আমার কি, তোমার কাজ তুমি কর।” বঙ্গবন্ধুকে প্রথম গুলি করা মেজর নুরের সাথেও জিয়ার বেশ সম্পর্ক ছিল। এই সব হত্যাকান্ড শেষে মেজর জিয়া অল্প বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও ইতিহাস তাকে ক্ষমা করেনি। তার উদাহরণ তার মৃত্যু।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি হুমায়ন তাহের চৌধুরী হিমু, সহ-সভাপতি এবং চৌফলন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াশ করিম বাবুল, সহ সভাপতি মো: জিকু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম আমির, জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাবেক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোঃ শরিফুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল উদ্দীন, জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সেলিম মোরশেদ ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক এম মমতাজুল ইসলাম, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্জুর আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাহান চৌধুরী, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নূর ছিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চৌফলন্ডি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এহসানুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাহান মনির, ঈদগাঁহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ, সদর উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকু, সহ সভাপতি মিজানুল হক, সাবেক ঈদগাঁহ সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল উদ্দীন রাসেল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিশাদ, শ্রমিক নেতা ছোটন রাজা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন