এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও
সদরের ঈদগাঁওতে দীর্ঘ ২০বছর ধরে ঝুকিঁপূর্ণ নাসীর কাঠের সাঁকোটির খবর রাখেনি কেউ। আর প্রতিশ্রুতি নয়,বাস্তবায়ন চাই এলাকাবাসী।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,এ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের নির্মিত তক্তার উপর ভর করে দৈনিক শতশত লোকজন নানা কাজেকর্মে আসা যাওয়া করে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে যাতায়াত করছে অতি কষ্টের বিনিময়ে। এছাড়া এই ব্রীজ দিয়ে ঈদগাঁওর বৃহত্তর মাইজ পাড়ার মানুষ ছাড়াও অন্য এলাকার লোকজনও চলা ফেরা করে থাকে প্রায়শ। যানবাহন নিয়ে পারা পারতো দূরের কথা,একা পায়ে হেটে যাওয়াও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। আবার অসহায় রোগীকে আনা নেওয়ার কাজে মরনদশায় পড়তে হচ্ছে অনেককে। ব্রীজের ওপারের একজন ব্যাক্তি মৃত্যুবরণ করলে তাকে নিয়ে এপারে মহাকষ্টের মধ্যদিয়ে মেহেরঘোনা মসজিদে জানাজার মাঠে আনতে হয়। নইলে দূরবর্তী স্থান দিয়ে যানবাহন করে মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে আসতে হয় এমন অবস্থায় পড়ছেন এলাকাবাসী। এটি পার হয়ে প্রতিদিন চাকরীজিবী,পেশাজীবি,শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীসহ সাধারন লোকজন কোন না কোন ভাবেই মহাসড়কে আসতে দেখা যাচ্ছে। ৫ মিনিট পথ ঘন্টার বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। এলাকার লোকজনের মতে,দীর্ঘবছর পূর্বে একটি ছোট্র ব্রীজ নির্মান হয়েছিল,তখনকার সময়ে সেটি বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে এলাকাবাসীর একান্ত সহযোগিতায় কাঠের সাকোঁর মত তক্তার ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে অসংখ্য নর-নারীরা। অথচ গ্রামীন জনপদে এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
কৃষক আহমদ হোসন জানান,এটি ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে অযন্তে অবহেলায় সংস্কার বিহীন পড়ে রয়েছে। ব্রীজটি নির্মানের ক্ষেত্রে কোনভাবে
আলোর মুখ দেখেনি অধ্যবদিও পর্যন্ত।
সাবেক মেম্বার সিরাজুল হক জানান,চলাচলের সুবিধার্থে এই সাঁকোটি নির্মান এখন সময়ের গন দাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটি নিয়ে এলাকাবাসীকে মরন দশায় ভোগতে হবে।
পথচারীদের মতে,নিবার্চনের সময় এলাকার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিনিধিরা, নিবার্চন পরবর্তী সেসব প্রতিনিধিদের দেয়া প্রতি শ্রুতিতো দূরের কথা,দেখাও মিলছেনা।
স্থানীয় ওর্য়াড় আ,লীগ সাধারন সম্পাদক –
সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, মহিলা সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমাসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট নাসীর সাঁকোটি নির্মানের আকুল আবেদন জানান।
বর্তমান মেম্বার বজলুর রশিদ জানান,এখনো পর্যন্ত কোন কিছু হয়নি নাসীর সাঁকোটির।
মন্তব্য করুন