কক্স৭১
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে মরণনেশা ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রায় সময় বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছেপিএমখালীর স্থানীয় ছেলেরা। সর্বশেষ পিএমখালী ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর ডিকপাড়া এলাকার মমতাজ আহামদের ছেলে হোসেন শরীফ কে এক হাজার পিস ইয়াবা এবং ইয়াবা বিক্রির নগদ এক লাখ টাকা সহ আটক করে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। এদিকে উত্তর ডিকপাড়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবে সর্বজন পরিচিত হোসেন শরীফ আটক হওয়ার পরে অনেক স্থানীয় লোকজন ফোন করে জানান,এলাকায় ইদানিং ইয়াবা ব্যবসায়ি এবং তাদের গডফাদারদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে অনেক লাভজনক হওয়ায় অনেক গরীব মানুষ টাকার লোভে এই ব্যবসায় জড়াচ্ছে তাই আরো পরিকল্পিত এবং জোরালো অভিযান চালিয়ে এলাকাকে ইয়াবা শুন্য করা দরকার। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে হোসেন শরীফের ইয়াবা বিক্রি এবং তার টাকা ব্যবহার করে এবং স্থাণীয় পর্যায়ে ইয়াবা পাচার করে উত্তর ডিকপাড়া এলাকার রজমান (সর্দার) মনির আলম সওদাগর,এছাড়া উত্তর ডিকপাড়া এলাকায় শেখ নবীর ছেলে মেহেদী,সিকান্দরের ছেলে মামুন,দক্ষিণ ডিকপাড়ার নুরুল হকের ছেলে আকতার আহামদ,ছুরুত আলম সহ অনেকে। তবে পুরু ডিকপাড়াতে ব্যাপক হারে ইয়াবা ব্যবসায়িকে চিনিছে বর্মায়ানী হিসাবে পরিচিত এলাকায় নতুন বাড়ি করা মর্জিনা আক্তার। সে প্রকাশ্য ইয়াবা ব্যবসা করে এটা সবাই জানে কিন্তু অনেকে সেই মহিলার কাছ থেকে কমিশন খেলে চুপ করে থাকে। এছাড়া সেই বর্মায়ানির ছেলে মুজিবুর রহমান,আবদুল করিম,জাকারিয়া মেয়ে জুবাইদা,সুবাইদা সবাই ইয়াবা পাচার করে এবং ব্যবসা করে। তাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এবং বার্মা থেকে লোকজন আসে তারা সাথে ইয়াবা নিয়ে আসে পরে টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া পিএমখালী নয়াপাড়া এলাকায় বেশ কিছুদিন আগে ডিবি পুলিশের অভিযানে আবদুল গফফারের বাড়ি থেকে ২০ হাজার ইয়াবা চালান আটক করা হলেও পরে অভিযান থেকে গেছে বর্তমানে সেই বাড়িতে আবারো ইয়াবার জমজমাট ব্যবসা হয়। তাছাড়া আবদুল গফফারের ভাই আবু তাহের সহ অনেক রোহিঙ্গা এখন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। মূলত রোহিঙ্গাদের কারনে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা বেড়েছে। তাই রোহিঙ্গা এবং ইয়াবা দমনে এলাকাবাসী সহ প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার দাবী জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন