আজিম নিহাদ.
পর্যটন নগরীতে ৩ দিনব্যাপী জলকেলী উৎসব শুরু পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রাখাইন সম্প্রদায়ের জলকেলীর মূল উৎসব শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। এ উপলক্ষে বর্ণিল রুপে সেজেছে রাখাইন পল্লীগুলোকে। রাখাইন বর্ষ ১৩৮০ কে বিদায় জানিয়ে পাপ আর কালিমা মুছে নতুন ১৩৮১ রাখাইন বর্ষকে বরণ করতে রাখাইন সম্প্রদায় মেতেছে জলকেলির প্রাণের উৎসবে। । তাদের ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘সাংগ্রেং পোয়ে’। আগামী শুক্রবার এই উৎসব সম্পন্ন হবে । শহরের পূর্ব মাছ বাজার, পশ্চিম মাছ বাজার, ফুলবাগ সড়ক, ক্যাং পাড়া, হাঙর পাড়া, টেকপাড়া, বার্মিজ স্কুল রোড, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক ও চাউল বাজার এলাকায় এক ডজন মন্ডপ তৈরী করেছেন। এছাড়া মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া, হারবাং, রামু, চৌফলদন্ডীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে একই আয়োজন চলছে। জ জ, আক্য, জ জ ইয়ুদি, মং মউ, আবুরী, হাপু, ওয়াশে, কিংজ, ওয়ান ওয়ান, আউ, মং মং, মানে কিং জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের নববর্ষ উৎসব প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ ঝাঁকঝমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। রাখাইনদের এ উৎসবের মূল লক্ষ্য অতীতের সকল ব্যাথা-বেদনা, গ্লানি ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া। রাখাইন তরুন-তরুনীরা নতুন ও আকর্ষণীয় পোষাক পরিধান করে সেজেগুজে রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং রাখাইন পল্লীতে তৈরি করা জলকেলী উৎসবের প্যান্ডেলে গিয়ে একে অপরকে পানি নিক্ষেপ করে আনন্দ প্রকাশ করে। এসময় নাচ-গানসহ চলে আনন্দঘন অনুষ্ঠান। সাথে ঢাক-ঢোল আর কাঁসার তালে-তালে নেচে উঠবে রাখাইন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের প্রাণ। শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের মং ছেন রাখাইন বলেন, ‘আমরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে পুরনো দিনের সকল ব্যাথা, বেদনা, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এটি আমাদের কাছে খুবই পবিত্র ও আনন্দের দিন।’ এদিকে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন গত ১৩ এপ্রিল থেকে মোমবাতি প্রজ্জলন, বুদ্ধ স্নান, পুষ্প অর্পণসহ ধর্মীয় পূজা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। রাখাইন বুড্ডিষ্ট ওয়েল ফেয়ারএসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি মংক্য রাখাইন বলেন,সাংগ্রাই বা জলকেলী উৎসব রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় উৎসব। এটা আমাদের জন্য একটি মহা মিলনমেলা এবং সা¤্রদায়িতক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেছেন, জলকেলী উৎসব উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও মাঠে রয়েছে।
মন্তব্য করুন