নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও
তামাক ক্ষতিকারক পণ্য। সিগারেট তৈরিতে তামাকের ব্যবহার হয়। তামাকে প্রচুর পরিমানে নিকোটিন থাকে,এ সিগারেটের ধোঁয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করে থাকে। তামাক জাতীয় দ্রব্য পান করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রামুর বিভিন্ন এলাকায় তামাক চাষ হচ্ছে। অধিক লাভ এবং বিভিন্ন কাম্পানি কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী করে তুলছেন,চাষীদের দিচ্ছেন অগ্রিম তামাক চাষের বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা আর অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা লোভে পরে তামাক চাষ বেশি করছেন। তথ্য মতে,তামাক ক্ষেত থেকে তুলে বাড়ির আঙ্গিনা ও বিভিন্ন বাগানে শুকাতে দেওয়া হচ্ছে এতে করে যারা এই তামাক পরি চর্যা করছেন তাদের মারাত্বক ভাবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে,তারপরও অধিক লাভের আশায় তারা তামাক চাষ করছেন। ঈদগড় এলাকার এক তামাক চাষী তার ফসলি জমিতে এবছর তামাক চাষ করেছেন। অতি মুনাফার আশায় ও বিভিন্ন কোম্পানির প্রলোভনে পরে তিনি এ তামাক চাষ করেন। তামাক চাষে এক টোবাকো কোম্পানি থেকে তিনি অগ্রিম টাকা,
সার বীজসহ বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে অধিক লাভের কারনে তিনি ফসলি জমিতে এ তামাক চাষ করেছেন বলে জানান। অন্য ফসলের চাইতে তামাক চাষে কয়েকগুন লাভ পাওয়ায় তিনি এ চাষ বাড়াচ্ছেন এবং প্রতিবছরই আবাদ করবেন বলে জানান। তবে এলাকাবাসীর মতে, আগে যে সব জমিতে খাদ্য শশ্য জাতীয় ফসল উৎপাদন হত এখন সেসব জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে। তবে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে পরে কৃষকেরা জমিতে খাদ্য ফসল চাষ না করে তামাক চাষে ঝুকঁছে। যার কারনে খাদ্য শশ্য চরম হুমকিতে পড়েছে। তবে চাষীদের মতে,তারা তামাক চাষ করছেন অধিক লাভের আশায়। অন্যান্য ফসলের চাইতে তামাক চাষে তাদের লাভ বেশি তাই তারা তামাক চাষ করছেন। ঈদগড়ের উপসহকারী কৃষি অফিসারের মতে, তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তারপরও চাষিরা অধিক লাভের আশায় ক্ষতি সত্বেও তামাকের আবাদ করছেন। তবে কোম্পানির প্রলোভনে পরে চাষীরা বেশি লাভের কারনে এর আবাদ করছেন যার ফলে ফসলি জমি তার উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে।
মন্তব্য করুন