মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :
আজ ২৫ জুলাই চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধূরী সদ্য সম্পর্ণ হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করায় পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জনপ্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। যারা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন, তারা হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবর্তিণ হয়েছেন।
অন্য ৭ জন স্বতন্ত্র প্রাথী হচ্ছেন, সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার মাঈন উদ্দিন হাসান শাহেদ(আনারস), সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফরিদুল আলম মিন্টু(মোটর সাইকেল), সাবেক মেম্বার রফিক আহমদ টেলিফোন), যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ (রজনীগন্ধা), নাজমুল হাসান(ঘৌড়া), রিদুওয়ানুল হক(চশমা) ও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন(অটোরিক্স)।
সরে জমিনে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ও ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এখানে মূলত লড়াই হবে ৩ প্রার্থীর মধ্যে। সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভোট হলে নতুন প্রার্থীরা চমক দেখাতে পারেন বলে ভোটারদের ধারণা। এখানে সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন হাসান শাহেদের বাড়ির পার্শ্বে কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার ভোট। তার ধারণা ওই কেন্দ্রে তিনি উল্লেখ যোগ্য ভোট পাবেন এবারও। অন্যান্য কেন্দ্রে ও রয়েছে তার ব্যাপক জনসমর্থন। তা নিয়ে তিনি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদুল আলম মিন্টু, তার সততা ও যোগ্যতা নিয়ে এবং ডান ব্লকের ভোটারদের একক চত্র সমর্থন পেয়ে তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী পর পর এখান থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তিনি ওই দুই প্রার্থীকে তার সাথে পাল্লা দিয়ে তার বিজয় ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছিল, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্যালট পেপার ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরবরাহ করতে। কিন্তু তাদের এই দাবির কোনটিই পূরণ করা হয়নি। এতে এখানে আদৌ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কী-না তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা কাজ করছে তাদের মাঝে।
নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে প্রচারণায় কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম। যা সুস্পষ্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভোট হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। রাতে বা দিনের বেলায় কোন কারচুপির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এর পরও যদি এ ধরণের ঘটনা ঘটে তাহলে সাথে সাথেই ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হবে। সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত প্রিসাইডিং অফিসারদের।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাই তাদেরকে দেওয়া কঠোর নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সেই দায় তাদেরই এবং সেভাবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।’
তারা বলেন, ‘আগের মতো রাতের আঁধারে বা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ভোট কারচুপি করা এখানে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটবে। যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।’
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। ইউনিয়নের ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩২টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৫০১০ জন নারী-পুরুষ ভোটার। নির্বাচনে একজন বিচারিক ও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশের তিনটি স্ট্রাইকিং ফোর্স কেন্দ্রের বাইরে এবং প্রতিকেন্দ্রে একজন অফিসারের নেতৃত্বে ৫ জন পুলিশ ও ১২জন আনসার সদস্য স্থায়ীভাবে নিয়োজিত থাকবেন। এদিকে, একইদিন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন। এখানে ইভিএমএর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। ##
মন্তব্য করুন