কক্স ৭১ রিপোর্ট
হিজাব পড়েত বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ শিক্ষার্থীদের হিজাব এবং বোরকা পড়তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক ভাবে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থী। জানতে চাইলে নার্সিং ইনচার্জ করুনা রানী বেপারী খুব দম্ভ দিয়ে বলেন মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমার এখানে কেউ হিজাব ও বোরকা পড়তে পারবে না।
কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যায়ন রত একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেণ,নাসিং ইনস্টিটিউটের ইনাচর্জ করুনা রানী বেপারী আমাদের খুবই মানসিক এবং শারিরিক ভাবে খুব হেনস্তা করছে। তিনি আমাদের হিজাব পড়তে প্রকাশ বারন করছে এবং কেউ পড়তে তাকে খুব বাজে ভাবে হেনস্তা করে। এছাড়া ইনস্টিটিউটে কোন মুসলিম মেয়ে বোরকা পড়লে তাকে চরম ভাবে নাজেহাল করছে। বিষয়টি আমরা কাউকে বলতে পারছি না,সইতেও পারছিনা। আলাপ কালে এক শিক্ষার্থী বলেণ,আমি ছোট বেলা থেকে হিজাব এবং বোরকা পড়তে অভ্যস্ত কিন্তু এখানে পড়তে এসে চরম বিপাকে পড়েছি। আমাদের ইনচার্জ কোন ভাবেই হিজাব বা বোরকা পড়তে দেয়না। এছাড়া তিনি আরো অনেক ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি করছে যা আমরা কখনো বাইরে বলিনা। মুলত আমাদের যে খাবার দেওয়া হয় তা খুবই নি¤œমানের যা মোটেও খাবার উপযুক্ত না। এছাড়া রুমে যেভাবে ফ্যান ছাড়া বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকি সেটা কেউ চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেনা। তবুও এসব বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। ৩ বছরের জন্য পড়তে এসেছি কারো সাথে বিরুধে জড়াতে চায় না। তবে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সেই দেশে কিভাবে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ হয় আমরা বুঝিনা। ইনচার্জ আমাদের বলেন,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ড্রেস কোডে হিজাব নেই, মাথার উপর নার্সদের জন্য নির্দিষ্ট ব্যান্ড পড়তে হবে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে মাথায় হিজাব পড়েও সেই ব্যান্ড পড়া যায় এতে চুল দেখা যায় না ভাল লাগে। আমরাতো নাকেব পড়ছি না। কিন্ত ইনচার্জ করুনা রানী কিছুতেই হিজাব পড়তে দেয় না। বরং এখানে অমুসলিম মেয়েরা যারা আছে তাদের তিনি প্রকাশ্য আশকারা দিচ্ছে ফলে এখানে যে কোন মুহুর্তে একটি বড় ধরনের দূর্ঘটনা হতে পারে তাই বিষয়টি সবার নজরে আনা দরকার।
এ ব্যপারে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ করুনা রানী বেপারী খুব দম্ভ নিয়ে বলেণ,মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নার্সদের ড্রেস কোডে হিজাব পড়তে পারবে না। এমনকি বোরকাও পড়তে পারবে না। আপনাদের অসুবিধা হলে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ নিয়ে আসুন।
মন্তব্য করুন