শিরোনাম :
কক্সবাজারে মানবপাচার চক্রের ৪ সদস্য আটক : উদ্ধার ৭ বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল : চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী রানারআপ চকরিয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন সাংবাদিক মাহীকে ভুল চিকিৎসা: তত্ত্ববধায়ক মোমিনকে বদলি, তিন সদস্য কমিটি গঠন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা: মুমিনের বদলী নতুন আসছেন ডা:মং টিংঞো ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : ঘোনারপাড়ার নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কক্সবাজারে নকল কোর্ট ফি বিক্রি চক্রের ২ জন আটক রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে স্থানীয়দের সর্বাত্মক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সিরাজ আহমদ নাজিরের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী কক্সবাজার ৩ আসনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দিলেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
  • 531 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

প্রথম আলোঃ

মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করার তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে উঠে আসে।আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন শুনানি শেষে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, রকিবুল আলম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চাষি সেজে ক্ষতিপূরণ নেওয়া চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রুহুল আমিন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওই সময় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মহেশখালী উপজেলায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। ওই সময় ২৫টি ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে প্রায় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। বাকি ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা উত্তোলনের জন্য পাঁচটি চেকও ইস্যু করা হয়।এই ঘটনায় এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ীর এক ব্যবসায়ী ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তখনকার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের আদেশে দুদক এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিপূরণের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে উত্তোলন করা হয়েছে বলা হয়। এরপর জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT