কক্সঃ৭১
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সম্মেলনে স্থানীয় ত্যাগী এবং দীর্ঘ দিনের আওয়ামীলীগের নেতাদের পদ বঞ্চিতকরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পদে বসিয়েছে এছাড়া সম্মেলনের নামে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেবের বিরুদ্ধে চরম সেচ্ছাচারীতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬,৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতারা। ২১ নভেম্বর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন। এবং সম্মেলন বাতিল করে নতুন করে সম্মেলন করার দাবী জানান তারা।
পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোর্তজা শাহেদ জামাল বলেন,১৮ নভেম্বর অনুষ্টিক সম্মেলনে উপজেলা সভাপতি আবু তালেব নিজে ব্যালট হাতে নিয়ে ভোটারদের দিতে থাকে এবং নিজে সীল মেরে বাক্সে ভরে দিয়ে ভোট শেষে কোন গননা ছাড়া শেষ করে তার পছন্দের প্রার্র্থী সন্ত্রাসী আবুল হোসেনকে জয়ী ঘোষনা করে এর মধ্যে সব চেয়ে আর্শ্চচ্য জনক বিষয় হচ্ছে সম্মেলনে মোট ভোটার হচ্ছে ১৬৯ জন অথচ ২২ জন বাকি থাকতেই সব ভোট কাস্ট হয়ে গেছে এবং একই ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী রশিদ আহামদ বলেন,সম্মেলনের নামে চরম সেচ্ছাচারীতা করা হয়েছে ভোট সবার সামনে না গুনে সব ব্যালট তিনি নিয়ে গিয়ে পছন্দের প্রার্থী আবুল হোসেনকে ঘোষনা করা হয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী আবদুল আলীম বলেন,আমার মত পরাতন আওয়ামীলীগ অত্র ইউনিয়নে আর নেই আমাকে চরম ভাবে নাজেহাল করে সম্মেলনের নামে নাটক করা হয়েছে,ভোটের মাত্র ১ দিন আগে আমাকে ভোটার লিস্ট দেওয়া হয়েছে ১৫৪ জনের। পরে ২০ জনের একটি কমিটি করে। সেখানে উপজেলা সভাপতি নিজেই তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়ি ঘোষনা করে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুল্লাহ বলেন,মামলার কথা বলে আমার প্রার্থীরা বাতিল করেছে অথচ উক্ত ওয়ার্ডের সভাপতি ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে হত্যা,ডাকাতি সহ ১ ডজন মামলা আছে আর সাধারণ সম্পাদক করা নজরুল ইসলাম উক্ত ওয়ার্ড বিএনপির তালিকা অনুযায়ী ৬৪ নাম্বার সদস্য। উপজেলা সভাপতির নগ্ন হস্তক্ষেপে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কাজল বলেন,আমাকেও বিনা কারনে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে অথচ উক্ত ওয়ার্ডে বিএনপির লোক এবং প্রাকাশ্য আওয়ামী বিরুধীদের স্থান করে দিয়েছে। তাদের সবার দাবী মূলত উপজেলা সভাপতি আবু তালেব নিজে মাস্তানী করে নগ্নভাবে ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলনে এভাবে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে দলকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে এবং দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করছে। এ বিষয়ে তারা সকলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবরে অবৈধ সম্মেলনবাতিল কলে নতুন ভাবে সম্মেলন করার দাবী জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন