কক্সবাজার রিপোর্ট
কক্সবাজার শহরে সব চেয়ে বড় এবং আধুনীক ইসলামিয়া বরফকল সহ শত কোটি টাকার জমি দখলের পায়তারা করছে টেকপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসী ফয়েজুল হক পান্নু ও তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনিরা। তার বাবা মরহুম নুরুল হক কোম্পানীর দেওয়া ৮০ লাখ টাকার মধ্যে তিনি জীবিত থাকতে এবং মৃুত্যর পরে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা নিয়েছে। এর পরও জোরপূর্বক তার ছেলে পান্নু গংরা টাকা পাওয়া আছি দাবী করে ৪ বছর ধরে বরফকল পরিচালনা করে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্বসাৎ করে। এর পরও আমাদের কোন হিসাব না দিয়ে উল্টো এখন সব কিছু দখল করার পায়তারা করছে। এছাড়া মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে ইতি মধ্যে একাধিক মামলা করেছে। তাই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শতকোটি টাকার বরফকল উদ্ধার সহ নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে শহরের টেকপাড়া আবু ছৈয়দ কোম্পানী ও মোক্তার আহামদের পরিবার।
১২ জুন বিকালে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে অসহায় নির্যাতিত আবু ছৈয়দ কোম্পানী এবং মোক্তার আমাম্মদ কোম্পানীর পরিবারের পক্ষে আবু ছৈয়দ কোম্পানী মেয়ে জুবাইদা খানম রেশমী বলেন, ১৯৯৯ সালে আমার পিতা শহরের মাঝেরঘাট এলাকা গড়ে তুলেন জেলা শহরের সব চেয়ে বরফ কল এবং সুবিশাল জেটি,সাথে আমার পিতার ২৪ টি বোট ছিল প্রায় হাজার খানেক কর্মচারী ছিল। পরবর্তিতে আমার পিতা কিছু নিকট কর্মচারীর বিশ^াষ ঘাতকতার কারনে ধারদেনা হলে স্থানীয় নুরুল হক কোম্পানী থেকে তৎকালীন২৯/৪/২০০৮ সালে ৮০ লাখ টাকা ধার নেয়। এর মধ্যে সেই টাকার বিপরীতে নুরুল হক কোম্পানী নিজে এবং উনার মৃত্যুর পর উনার স্ত্রী রশিদ মূলে প্রায় ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে। তারও পরে ২০১৩ সালে নুরুল হক কোম্পানী নিজে এবং উনার স্ত্রী ছেলেরা রশিদ মুলে আসল টাকা হতে ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে। পরবর্তিতে উনার ছেলে আবারো টাকা পাওনা আছি দাবী করে আমাদের বরফকল বন্ধ করে দিলে বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যস্বততায় আরো ২ কোটি টাকা পাওনা দাবী করে একটি চুক্তি করে। যেহেতু আমাদের কোন উপযুক্ত ভাই নেই বাবা এবং তার শরীকদার মোক্তার আহামদও অসহায় তাই বাধ্য হয়ে তা মেনে নিয়ে বরফকল পরিচালনার একটি চুক্তি করি। কিন্তু চুক্তির কোন সর্ত নুরুল হক কোম্পানী ছেলে ফয়েজুল হক পান্নু পাত্তা না দিয়ে ৪ বছর মিল পরিচালনা করে। প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্বসাৎ করে। এর মধ্যে উল্টো আমার বাবার নামে ২৫ লাখ টাকা বিদ্যূৎ বিল বকেয়া রেখে উনাকে মামলা দিয়ে ফেরারী আসামী করা হয়েছে। এই ৪ বছরে বরফ বেচাকেনার কোন হিসাব আমাদের দেয় নি। বরং জেটি,কর্মচারীর বেতন,অফিস ভাড়া সহ সব টাকা আত্বসাৎ করেছে। আমার অনেকে কাছে বিচার দিয়ে কোন সুরাহা না পেলে ৩/৯/২০১৮ সালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি যার নাম্বার ১৩৫৮/১৮। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি পুলিশ বুরো অব ইনবেষ্টিগেশনে তদন্ত ভার দিলে । কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম সরকার। অত্যন্ত সততার সাথে সব বিষয় সনিপুন ভাবে উঠিয়ে এনে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান। কিন্তু কে শুনে কার কথা। ইতি মধ্যে সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারী ফয়েজুল হক পান্নু,আমাদের বরফমিল দখল করে সেখানে শত শত মাদকসেবী এনে মাদকের আখড়ায় পরিনত করেছে। এবং বরফমিলে বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছে। জেটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে,কর্মচারী সেয ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।ফার্নিচার বিক্রি করে দিয়েছে। রাতে সম্পূর্ন উলঙ্গ নৃত্যু করে। এ সবের প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের মারধর করে এবং গালিগালাজ করে এবং প্রকাশ্য বলে এখানে তুমাদের কিছুই নেই সব আমার তুমরা বের হয়ে চলে যাও। এ বিষয়ে থানায় এজাহার,অভিযোগ সাধারণ ডাইরী করতে করতে কাগজের স্তুপে পরিনত হয়েছে কিন্তু কোন আইনী সহায়তা পায়নি। টাকা কাছে সব কিছু অসহায় হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২৬/৫/২০১৯ সন্ত্রাসী পান্নু মাতায় অবস্থায় আমার কলেজ পড়–য়া ভাইকে বিনা কারনে মারধর করলে সে প্রাণ ভয়ে পালানো সময় সন্ত্রাসী পান্নু তার মটর সাইকেলটি জোর চালাতে গিয়ে গেইটের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরেএ ঘটনায় আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা নেয় সদর থানা এখন আমার ভাই পলাতক। কিন্তু আমাদের এত নির্যাতন করছে আমরা কোন আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। তারা সব সময় সরকারী দল আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। এর মধ্যে আমরা বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে জানালে উনারা এসে আমাদের কিছুটা সহায়তা করেছে। তবে আমরা কোন মতে এই সন্ত্রাসী পান্নু গংদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। আর বরফমিলটি চালু করতে পারছিনা।
তাই মাননীয় পুলিশ সুপার সহ জেলার সর্বমহলের কাছে অসহায় নির্যাতিত এই পরিবারের আহবান কুখ্যাত মাদক কারবারী পান্নু গংদের হাত থেকে আমাদের বাচাঁন। ইসলামিয়া বরফকল সহ শত কোটি টাকা জমি দখলের পায়তারা সহ সকল ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে আমাদের সহায়তা করুন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবু ছৈয়দ কোম্পানীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার,কন্যা জুলেখা খানম পাপড়ী।
মন্তব্য করুন