শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে অপ্রচলিত মৎস্য পণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম আন্ত: স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি চ্যাম্পিয়ন বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা পরিবার আটক হোয়ানকের একাধিক মামলার আসামী আবুল কাশেম গ্রেফতার। জনমনে সস্তি কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফিরে গেল মিয়ানমার প্রতিনিধি দল জীপ মাইক্রো কার মালিক সমিতির বাসটার্মিনাল শাখার কমিটি গঠিত ইয়াবা মামলায় টেকনাফের ২ জনের যাবজ্জীবন শিক্ষার্থীদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ধারনা দিল কক্সবাজার বিআরটিএ ‘‘বিশ্ব শান্তির জন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ সর্বাবস্থায় অনুকরণীয়’’

ইসলামাবাদে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম : ফুঁসে উঠেছে জেলে সম্প্রদায়

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, জুন ৪, ২০১৯
  • 627 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওজনে কারচুপি,অসৌজন্য আচরণ,স্বজনপ্রীতি
র মধ্যে দিয়ে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে সমুদ্র মৎস্য আহরণ বিরত জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচী খাদ্যশষ্য কার্যক্রম। এতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় লোকজন । জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছে তারা।
সূত্র মতে,২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সমূদ্রে মৎস্য আহরণ বিরত জেলেদের মাঝে ৪০ কেজি হারে বিশেষ ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৭.০৯৫ জন জেলের জন্য ২৮৩.৮০০ মেঃটঃ চাল গত ২৭ মে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার স্মারক নং ৫১.০১. ২২০০. ০০০. ৪১. ০০২-৩২২ মুলে বরাদ্দ করা হয়। তৎমধ্যে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ২৫০ জন জেলের জন্য ১০ মেঃটঃ চাল উত্তোলন করা। নিয়ম অনুযায়ী গত ৩রা মে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু করেন চেয়ারম্যান মোঃ নুর ছিদ্দিকসহ পরিষদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। এই দিন পরিষদে চাল আনতে গিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ, নাজেহাল,ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে জেলেদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগও পাওয়া গেছে। সরকারি ভাবে ৪০ কেজি চাল দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৩১ কেজি থেকে ৩৪ কেজি পর্যন্ত। এমন অভিযোগ করেন, কার্ডধারী জেলেরা। ইসলামাবাদ জলদাশ পাড়া এলাকার জেলেরা জানান,ইউনিয়নে ২শত ৫০জন জেলের মধ্যে কোনদিন সাগরে যায়নি এমন লোকজনকেও জেলে বানিয়ে রাতারাতি চাল দেওয়া হয়েছে। অতচ প্রকৃত ২০/২৫ জন কার্ডধারী জেলে যাদের একমাত্র আয়ের উৎস সাগরে তারা বিশেষ ভিজিএফের আওতায় আসে নাই। সমাজ সর্দার ও জলদাশ সম্প্রদায়ের লোকজন জানান,এলাকার পেশাদার জেলে মৃত হরিপদ দাশের ছেলে পংকজ দাশ,মৃত শ্যামলীল দাশের মেয়ে সবা রানী দাশ,যুবরাজের ছেলে রতন দাশ,কৃষ্ণ পদ দাশের ছেলে সুদের দাশ, গোপাল দাশের ছেলে লালসেন দাশ,মৃত কালারাম দাশের মেয়ে মনি দাশ,গুনধর বালা দাশের ছেলে প্রেম দাশ, মৃত কালারাম দাশের ছেলে খোকন দাশ, ধীরেন্দ্র দাশের ছেলে সুজন দাশ, আবেদনকারী নং ( ৪০৫৮১৫) উদ্দীপক দাশ, মৃত কালাবাসি দাশের মেয়ে সৃষ্টি বালা জলদাশসহ আরো একাধিক জেলে বিশেষ ভিজিএফের আওতায় আসেনি।
৪জুন সকালে সরেজমিনে তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান,চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতি ও সচিবের অবহেলার কারনে তারা চাল পাচ্ছে না। তাদের নাম তালিকায় আছে কি না দেখতে চাইলে তা দেখিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ সচিব আলতাফ উদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে।
তবে সচিব আলতাফ উদ্দিন আহমদ জানালেন ভিন্ন কথা তার আমলে তালিকা করেনি মৎস অধিদপ্তর। যাদের নাম তালিকায় আছে তাদেরকে বিতরণ করা হচ্ছে। যারা এখনো চাল সংগ্রহ করেনি পর্যায়ক্রমে পরিষদে এসে নিয়ে যেতে পারবে।
অপর এক সূত্র মতে,ইতিমধ্যেই যারা বিশেষ ভিজিএফ চাল পেয়েছে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ৩১-৩২-৩৩-৩৪ কেজি করে। এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছে জেলে সমাজ, তারা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। পবন দাশ,রাম চরন দাশ,রূপন দাশ, বিল্ল মঙ্গল জলদাশ, শিমুল দাশ, বক্ত দাশ, পুষ্প দাশ, রুক্ষুনী বালা দাশসহ একাধিক জেলেরা জানান, তাদের জন্য সরকারী ভাবে ৪০কেজি করে বরাদ্দ হলেও দেওয়া হয়েছে ৩১কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ কেজি। জনপ্রতি কম পড়া বাকী চাল গুলো কোথায় গেছে তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগীরা। সৃষ্টি বালা দাশ নামের এক বয়োবৃদ্ধা বলেন, গতকাল পরিষদে চালের জন্য গেলে কোন কারণ ছাড়াই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান । মায়ের অসুস্থতার কারনে রঞ্জন দাশ নামের এক যুবক পরিষদে গিয়ে মায়ের নামে বরাদ্দকৃত চাল তুলতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পরিষদ থেকে লাথি মেরে বের করে দেন বলে জানান।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ছৈয়দ নুর হেলালী জানান, চাল বিতরণে ওজনে কম দিয়েছে বলে জেলেরা তাকে জানিয়েছেন। তবে পরিষদে গিয়ে বিস্তা রিত জানাতে পারবেন বলে জানায়।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যানের মুঠোফোন কয়েকবার কল দেওয়ার পরেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT