মাহাবুবুর রহমান.
আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পিএসসি এবং এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা। এবারের কক্সবাজারে প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী ৪১,৪১৮ জন, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৬ এবং এবতেদায়ীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪,০০১ জন কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৭টি। সে হিসাবে মোট পরীক্ষার্থী ৫৫ হাজার ৪১৯ জন। এদিকে পিএসসি এবং এবতেদায়ী পরীক্ষার্থীদের চলছে শেষ মূর্হর্তের প্রস্তুতি অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও কেন্দ্রে আসন বিন্যাস থেকে যাবতিয় প্রস্তুতি শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে অনেক স্থানে কোচিং বানিজ্যে জড়িত থাকা শিক্ষকদের পরীক্ষার ডিউটি না দেওয়ার জন্য দাবী তুলেছেন সচেতন মহল।
সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং এবতেদায়ী পরীক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। কক্সবাজারে এবারের পরীক্ষা ৫৫ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে ৪১ হাজার ৪১৮ জন আর এবতেদায়ীতে ১৪০০১ জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১ টি পৌরসভার ও ১০ টি ইউনিয়নে ২০ টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থী ৭,৫৫৯ জন। এবং এবতেদায়ীতে ১৭ টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৩,৩৯১ জন। রামু উপজেলাতে ১১ টি ইউনিয়নে মোট পরীক্ষার্থী ৬,২২৬ জন,চকরিয়া উপজেলাতে মোট পরীক্ষার্থী ১১ হাজার ৪ জন কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৭ টি। পেকুয়া উপজেলাতে মোট পরীক্ষার্থী ৪,০৯৮ জন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬ টি। কুতুবদিয়াতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ২০৩,কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ টি। মহেশখালীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫১১ জন আর কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮ টি,উখিয়া উপজেলাতে পরীক্ষার্থী৫ হাজার ৬২০ জন কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮ টি,টেকনাফে মোট পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৬০৪ জন আর কেন্দ্রেরসংখ্যা ২২ টি।
এ ব্যপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন বলেণ,প্রাথমিক এবং এবতেদায়ী পরীক্ষা সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন করতে ইতি মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে হল সুপার থেকে পরিদর্শক সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা বসার জন্য রোল নাম্বার অনুযায়ী সব কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং কেউ অসুস্থ্য হলে ডাক্তার সহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেণ,প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন কথা আসেনি আর প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষক আছে যারা কোচিং বানিজ্যে জড়িত। যারা পিএসসি পরীক্ষার্থীদের সারা বছর প্রাইভেট পড়িয়েছে তাও প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে নিয়ে। আমাদের জানা মতে শহরের কয়েকটি স্কুলের এবং ঈদগাঁও সদর এবং আরো কিছু স্কুলের শিক্ষক প্রকাশ্য কোচিং বানিজ্যে জড়িত তাদের পিএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব না দিলে ভাল হতো। এমনও দেখা গেছে কোচিং বানিজ্যে থাকা শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা যে হলে পড়েছে সেই হলের সকল পরিদর্শক এবং সুপারকে আগেই ম্যানেজ করে যাতে তারা ভাল পাস করতে পারে । এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে কিছু আছে যারা প্রতি হিংসা পরায়ন তারা ইচ্ছা করে হলে এবং পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে তাদেরও পরীক্ষা ডিউটি থেকে বিরত রাখা দরকার।
এ ব্যপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন,পিএসসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে এখন পরীক্ষা শুরু করার বাকি। আর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই আশা করি এখানে এধরনের কোন কর্মকান্ড ঘটবেনা। আর কোচিং বানিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিষয়ে কেউ সুনির্দিস্ট কোন তথ্য দিলে অবশ্যই সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন